বৈশাখের ফ্যাশন বাংলা নববর্ষ অন্যতম প্রধান উৎসবে পরিণত হয়েছে। কেনাকাটার ধুম পড়ে যায় পয়লা বৈশাখকে কেন্দ্র করে। ঘরে ঘরে থাকে উৎসবের আমেজ। উৎ...
বৈশাখের ফ্যাশন বাংলা নববর্ষ অন্যতম প্রধান উৎসবে পরিণত হয়েছে। কেনাকাটার ধুম পড়ে যায় পয়লা বৈশাখকে কেন্দ্র করে। ঘরে ঘরে থাকে উৎসবের আমেজ। উৎসব মানেই নতুন পোশাক। ফ্যাশন হাউসগুলো ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে নতুন ডিজাইনের বাহারি সব পোশাক এনেছে এবারও। বৈশাখের ফ্যাশন ২০১৬
বৈশাখের ফ্যাশন উইংস অফ বাটারফ্লাই অত্যাধুনিক বাংলাদেশি ঐতিহ্যবাহী পোষাক তৈরি করার জন্য আপনি অবশ্যই আগিয়ে রাখতে চাইবেন উইংস অফ বাটারফ্লাই কে - এই বৈশাখে উইংস অফ বাটারফ্লাই আপনাকে দিচ্ছে অতি মনোরোম বৈশাখি শাড়ি কালেকশন , থাকছে ভিন্ন ভিন্ন রঙ এর বিশেষ ভাবে ডিজাইন করা শাড়ি গুলো । কমলা , লাল , নীল, হলুদ , সবুজ সহ সকল রঙের শাড়ি পাবেন উইংস অফ বাটারফ্লাই এর কালেকশন এ , শাড়িগুলো সঠিক মাপের এবং অতন্ত্য মোলায়েম । এবারের বৈশাখ কাটুক উইংস অফ বাটারফ্লাই এর সাথে । শাড়ি কিনতে পারেন অনলাইনে ঃ এখানে ক্লিক করুন কে-ক্রাফট কে-ক্রাফটের বৈশাখী আয়োজনে রয়েছে নতুন ডিজাইনের শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, টপ্স, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, শার্ট, টি-শার্ট, শিশুদের পোশাক, অরনামেন্টস, গিফটস ও গৃহসজ্জা সামগ্রী। রঙ হিসেবে প্রধানত ব্যবহার হয়েছে লাল, মেরুন, অরেঞ্জ, সাদা, অফহোয়াইট, ম্যাজেন্ডা ইত্যাদি। কে-ক্রাফটের স্বত্বাধিকারী খালিদ মাহমুদ বলেন, প্রধানত টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জে নিজস্ব ডিজাইনে বোনা তাঁতের শাড়িতে ভ্যালু অডিশনে নানা মিডিয়ার ব্যবহার আছে আমাদের। পটচিত্র, ট্রাইবাল মোটিফ, গ্রিক আর্চ মোটিফ, ফ্লাওয়ার মোটিফ ইত্যাদি বিষয় রয়েছে। আছে অ্যামব্রয়ডারি কাজ। মানিকগঞ্জে বোনা অ্যান্ডি শাড়ির সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বলাকা সিল্কের কম্বিনেশনে তৈরি শাড়িতে ব্লকপ্রিন্ট, স্ক্রিনপ্রিন্ট, অ্যাল্পিক, হাজার বুটি, অ্যামব্রয়ডারি, চুমকি পুঁতি, ভরাট ও কাঁথা স্টিচের কাজ করা হয়েছে। আছে মসলিন শাড়ি। বিভিন্ন রঙ ও ডিজাইনের সালোয়ার-কামিজগুলো গরমে উপযোগী, অ্যালিগেন্ট এবং উৎসবমুখী।
শিশুদের পোশাকে চিত্রিত হয়েছে পাখা, কলস, পাখি, ড্রাইফিস, ঘণ্টা, হাতি, ঘোড়া, ময়ূর, ঘুড়ি, হাঁস, মোরগ ও টমটম গাড়ি। এছাড়াও অ্যাকোয়া ফিস, চিলড্রেন পেইটিং, ফোক আর্ট, পেঁচা, ঘুড্ডি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ফতুয়া, টি-শার্ট, শর্ট পাঞ্জাবি অলংকিত করা হয়েছে। মাধ্যম হিসেবে স্ক্রিনপ্রিন্ট, অ্যামব্রয়ডারি শামুক ঝিনুক ব্যবহার, হ্যান্ড অ্যাপলিক ও সুতার কাজ করা হয়েছে। টপ্স ও ফতুয়ার ডিজাইনে হাতের কাজে শেডওয়ার্ক, কাঁথা কাজ, মানিকগঞ্জের ভরাট, অ্যাপলিকের কাজ করা হয়েছে। সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রঙে সিকোয়েন্স, বিডস ও হাজার বুটি করা হয়েছে। এছাড়া অনুষ্ঠান উপযোগী অ্যান্ডি, জয়সিল্ক ও মসলিনে কাটে ভিন্নতা এনে অ্যামব্রয়ডারি, মেশিন কাটওয়ার্ক, কারচুপি কাজ করা হয়েছে। নববর্ষে মেয়েদের ফতুয়া ও টপসের নানা অপশন রয়েছে। পাঞ্জাবিতে রয়েছে নানা ডিজাইন ও রঙের ব্যবহার। বিশেষ আইটেমগুলো পাওয়া যাচ্ছে কে-ক্রাফটের বনানী ১১ নম্বর রোড, নিউ বেইলি রোড, সীমান্ত স্কয়ার, প্লাজা এ আর, সোবহানবাগ, মালিবাগ ও মৌচাকের কাছে, মিরপুর-২ স্টেডিয়ামের বিপরীতে, দেশিদশ বসুন্ধরা সিটি, লেভেল-৭, গুলশান দেশিদশ তেজগাঁও বা/এ, গুলশান লিংক রোড, উত্তরা টাওয়ার-উত্তরা সেক্টর ৩, আজিজ সুপার মার্কেট শাহবাগ, যমুনা ফিউচার পার্ক ও চট্টগ্রাম দেশিদশে। মেলা বৈশাখের ফ্যাশন
বৈশাখে বাংলার মেলার বিশেষ আকর্ষণ শাড়ি। শাড়িতে লাল-সাদার প্রাধান্য থাকলেও কমলা, হলুদ, ব্লু, ব্রাউন, জলপাই এসব রঙও ব্যবহার করা হয়েছে। মসলিন, হাফসিল্ক, কটন, অ্যান্ডি খাদি মিক্সড বুননের শাড়ি ছাড়াও নানা ডিজাইনে নকশি পাড়ে টাঙ্গাইল শাড়ির আঁচলে থাকছে নানা রঙের মিশ্রণ, পিঠা, লোকজ, ফ্লোরাল, জ্যামিতিক নকশায় ব্লক, স্ক্রিন প্রিন্ট, বাটিক, হ্যান্ড পেইন্ট টাইডাইতে ভ্যালু অ্যাডে করা হয়েছে বৈশাখের শাড়িতে। সালোয়ার-কামিজের লম্বা ঝুলের পাশাপাশি খাটো ঝুলও রাখা হয়েছে এবারের কালেকশনে। থাকছে নানা প্যাটার্নে কুর্তি। পুরুষের আয়োজনে শর্ট ও মিড লেংথ পাঞ্জাবি থাকছে নানা ডিজাইনে আর নেকলাইনে উজ্জ্বল ও সফট সব রঙে শার্ট, ফতুয়া পাওয়া যাবে সব বয়সীর জন্য। একই নকশায় বাচ্চাদের জন্যও থাকছে বৈশাখী ফতুয়া, শার্ট, পাঞ্জাবি, সালোয়ার-কামিজ, ফ্রক। পোশাকের সঙ্গে থাকছে ম্যাচিং জুয়েলারি ও নন টেক্সটাইল প্রোডাক্ট। আর এসব পাবেন একেবারে হাতের নাগালের দামেই। শাড়ি পাবেন ৩৬৫০, সালোয়ার-কামিজ ২২৫০, পাঞ্জাবি ১১৫০ থেকে ১২৫০ টাকায়। লা-রিভ লা-রিভ নতুন নতুন কালেকশন এনেছে। গরম মাথায় রেখে সুতি কাপড়ের ব্যবহার বেশি হয়ে থাকে। লা-রিভের হেড অব ডিজাইন মুন্নুজান নার্গিস বলেন, উন্নতমানের প্রিন্ট ও মনোমুগ্ধকর নকশাসহ ফিরোজা, মান্ডারিন, লাল রঙের ছোঁয়ায় এবার সেজেছে আমাদের বৈশাখী পোশাক। লাল, সাদা, সবুজ, কমলা এবং হলুদের ছোঁয়ায় নারীদের জন্য আছে সালোয়ার-কামিজ ও টিউনিক। আছে পালাজ্জো, হারেম প্যান্ট, কালারফুল ট্রাউজার ও জিন্স। লা-রিভের টিউনিকের দাম ৯৪০ টাকা থেকে শুরু। অ্যাসকেডি (অ্যামব্রয়ডার্ড) ২২০০ থেকে ৪০০০ টাকা। পালাজ্জো ৯৯০ টাকা এবং হারেম প্যান্ট পাওয়া যাবে ১৩৯০ টাকায়। ছোট-বড় সবার জন্য বিভিন্ন দামের পাঞ্জাবি আছে এখানে। যার দাম পড়বে ১২৪০ টাকা থেকে শুরু করে ৩৯৯০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া পাজামাও পাওয়া যাচ্ছে তুলনামূলক কম দামে। বনশ্রী লেভেল-১ ও ২, ধানমন্ডি রোড-২৭, বসুন্ধরা সিটি লেভেল-২, মিরপুর মাল্টিপ্লান রেড ক্রিসেন্ট সিটি, ওয়ারী ইহসান প্লাজা, উত্তরা আরএরকে টাওয়ার, সিলেট ঠিকানা টাওয়ার, নারায়ণগঞ্জ স্বপ্ননীড় ফাতেমা পয়েন্টে এসব পাওয়া যাবে। রঙ বৈশাখের ফ্যাশন
আদি বাংলা বর্ষপঞ্জির মোটিফ ব্যবহার করে রঙ তৈরি করেছে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, কামিজ, পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট, ব্যাগ, গহনা, উত্তরীয় ইত্যাদি। মূল থিম ছাড়াও নতুন নতুন ডিজাইনের সম্মিলনে উৎসবধর্মী বৈচিত্র্যময় বিশাল সম্ভার এবারের রঙ-এর বৈশাখী আয়োজন। বৈশাখের চিরন্তন লাল-সাদার পাশাপাশি রঙের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য উজ্জ্বল সব বাহারী সন্নিবেশ আছে। বৈশাখী আয়োজনে নানা ধরনের সুতি ও সিল্কের কাপড়ের ওপরে স্ক্রিন ও ব্লকপ্রিন্ট, হ্যান্ড ও মেশিন অ্যামব্রয়ডারি, কারচুপি, প্যাচওয়ার্ক, হ্যান্ড পেইন্টের কাজ করা হয়েছে নান্দনিকভাবে। পোশাক ও শাড়ি পাবেন ৫৩০ থেকে শুরু করে ৬৯৮০ টাকা পর্যন্ত। বৈশাখ উপলক্ষে রঙে চলছে গিফট ভাউচার উৎসব। যে কোনো শোরুম থেকে ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা মূল্যের এসব ভাউচার ব্যবহার করে কেনা যাবে পছন্দসই সামগ্রী। বৈশাখে নিজেকে রাঙাতে ঘুরে আসতে পারেন রঙ শো-রুমগুলোতেÑবসুন্ধরা সিটি শপিং মল লেভেল-৭, উত্তরা মডেল টাউন সেক্টর-৭, যমুনা ফিউচার পার্ক, বনানী রোড-১১, ধানমন্ডি¬ অরচার্ড পয়েন্ট, ধানমন্ডি সীমান্ত স্কয়ার, বেইলী রোডের বেইলী ফিয়েস্তা, তেজগাঁও-গুলশান লিংক রোড সংলগ্ন হাসিম টাওয়ার, লালমাটিয়া সানরাইজ প্লাজা, শান্তিনগর টুইন টাওয়ারস্ কনকর্ড শপিং কমপ্লেক্স, নারায়ণগঞ্জ সান্ত¦না মার্কেট, সিলেটের আজগর স্কয়ার, চট্টগ্রামের আফমি প্লাজা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলেম কোর্ট, সুনামগঞ্জে লন্ডন প্লাজা ট্রাফিক পয়েন্ট। সাদা-কালোর সাদা-কালোর স্বত্বাধিকারী আজহারুল হক আজহার এই সময়কে বলেন, বাংলার সংস্কৃতিতে যে লোকজ ফর্মে মাছ, পাখি, হাতি, ঘোড়া হাজার বছর ধরে গ্রাম-বাংলায় ফুটে ওঠেছে তা এখন আমাদের নগর সংস্কৃতিতেও উজ্জ্বল হয়ে ওঠেছে। এই লোকজ ফর্মগুলোকে ব্যবহার করা হয়েছে ব্লক, স্ক্রিন, অ্যামব্রয়ডারি, কারচুপিসহ নানা মাধ্যমে। মেয়েদের জন্য তৈরি করা হয়েছে শাড়ি, কামিজ এবং ছেলেদের জন্য পাঞ্জাবি, শার্ট। ছোটদের জন্য পাঞ্জাবি, শাড়ি ও কামিজ। বৈশাখ উপলক্ষে সাদা-কালোতে ব্যাংক কার্ড হোল্ডারদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ও সিটি ব্যাংকের কার্ড হোল্ডাররা পাচ্ছেন ১০ শতাংশ ছাড়। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ও ইস্টার্ন ব্যাংকের কার্ড হোল্ডাররা পাচ্ছেন ৮ শতাংশ। বিভিন্ন পোশাকের দাম : হাফসিল্কের শাড়ির ওপর স্ক্রিন প্রিন্ট করা শাড়ি পাবেন ৪২৮০ টাকায়। নাইলেন কটনের ওপর করা স্ক্রিন প্রিন্ট ও ব্লকের কাজ করা থ্রি-পিস পাবেন ১২২০ টাকায়। সুতি কাপড়ে ব্লক ও স্ক্রিন প্রিন্টের কাজ করা শিশুদের পোশাক পাওয়া যাবে ৯২০ থেকে শুরু করে ১৪২০ টাকা পর্যন্ত। এর মধ্যে টি-শার্ট ৩৫০ টাকা, পাঞ্জাবি ১০২০ টাকা ও শাড়ি ১৩৮০ টাকা থেকে ১৪২০ টাকার মধ্যে। শো রুম : ধানমন্ডি সীমান্ত স্কয়ার, বেইলী রোড নাভানা বেইলী স্টার, বনানী রোড-১১, বসুন্ধরা সিটি লেভেল-৭, ওয়ারী র্যাঙ্কিন স্ট্রিট, চট্টগ্রাম আফমি প্লাজা, গুলশান লিংক রোড হাসেম টাওয়ার, যমুনা ফিউচার পার্ক গ্রাউন্ড ফ্লোর। নগরদোলা বৈশাখের ফ্যাশন
অন্যান্য পোশাকের তুলনায় কম মূল্যে ভালো ডিজাইনের পছন্দের পোশাক পাবেন নগরদোলায়। পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, দেশিবেশে দেশি পোশাকের ভালো লাগাই অন্যরকম আনন্দের। পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে সবাই দেশি পোশাকই বেছে নেন। তাই বাঙালি প্রাণের কথা মাথায় এনে ঐতিহ্যের সঙ্গে মিল রেখেই পোশাকের ডিজাইনে আনা হয়েছে বৈচিত্র্য। নগরদোলায় পাবেন বৈশাখী লং কামিজ। এটি টাই-ডাই ও অ্যামব্রয়ডারির মাধ্যমে কাজ করা হয়েছে, সঙ্গে রয়েছে ম্যাচিং দো-পাট্টা ও চুড়িদার, মূল্য ৩৪৯০ টাকা। বৈশাখী কামিজ আনারকলি স্টাইলে প্যাটার্ন করা হয়েছে। ব্লক অ্যামব্রয়ডারি ও হাতের কাজের মাধ্যমে ডিজাইন করা হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে চুড়িদার ও দোপাট্টা। এছাড়া লেইস, পট্টি, অ্যামব্রয়ডারি, ব্লকের কাজ। যার মূল্য ৩২৯০ টাকা থেকে শুরু। সুতি কাপড়ের ওপর বৈশাখী কামিজ আং রাখা স্টাইলে প্যাটার্ন করা হয়েছে। কামিজে ব্যবহার করা হয়েছে ব্লক স্ক্রিন ও মাল্টি কালার কাপড়ের পট্টি। সঙ্গে রয়েছে তাঁতের দোপাট্টা এবং চুড়িদার। বাচ্চাদের সাইজে পাওয়া যাবে অনুরূপ পোশাকটি। মা-মেয়ে ইচ্ছেমতো মিলিয়ে পরতে পারবেন পোশাকটি। মূল্য ২৮৯০ টাকা। মা-মেয়ের বৈশাখী পোশাক নিয়ে এসেছে নগরদোলা। কম্বিনেশন ও ডিজাইন ঠিক রেখে ব্লক মাধ্যমে কাজটি করা হয়েছে, সঙ্গে টারসেল ও বাটনের ব্যবহার করা হয়েছে। বাচ্চাদের সালোয়ার- কামিজের মূল্য ১৪৯০ থেকে ১৬৯০ টাকা। বড়দের সালোয়ার-কামিজের মূল্য ৩০৯০ টাকা। তাঁতের শাড়িতে ডিজাইন করা হয়েছে লোকজ মোটিফের ব্লক দিয়ে, সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে গ্লাস ও চুমকির কাজ। এসব শাড়ি পাবেন ২১৯০ টাকার মধ্যে। লাল ডাই কাপড়ের কলার প্লেটে অ্যামব্রয়ডারি ও স্টিচিং কাজ দিয়ে ডিজাইন করা পাঞ্জাবি পাবেন ১৬৯০ টাকায়।
বৈশাখের ফ্যাশন উইংস অফ বাটারফ্লাই অত্যাধুনিক বাংলাদেশি ঐতিহ্যবাহী পোষাক তৈরি করার জন্য আপনি অবশ্যই আগিয়ে রাখতে চাইবেন উইংস অফ বাটারফ্লাই কে - এই বৈশাখে উইংস অফ বাটারফ্লাই আপনাকে দিচ্ছে অতি মনোরোম বৈশাখি শাড়ি কালেকশন , থাকছে ভিন্ন ভিন্ন রঙ এর বিশেষ ভাবে ডিজাইন করা শাড়ি গুলো । কমলা , লাল , নীল, হলুদ , সবুজ সহ সকল রঙের শাড়ি পাবেন উইংস অফ বাটারফ্লাই এর কালেকশন এ , শাড়িগুলো সঠিক মাপের এবং অতন্ত্য মোলায়েম । এবারের বৈশাখ কাটুক উইংস অফ বাটারফ্লাই এর সাথে । শাড়ি কিনতে পারেন অনলাইনে ঃ এখানে ক্লিক করুন কে-ক্রাফট কে-ক্রাফটের বৈশাখী আয়োজনে রয়েছে নতুন ডিজাইনের শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, টপ্স, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, শার্ট, টি-শার্ট, শিশুদের পোশাক, অরনামেন্টস, গিফটস ও গৃহসজ্জা সামগ্রী। রঙ হিসেবে প্রধানত ব্যবহার হয়েছে লাল, মেরুন, অরেঞ্জ, সাদা, অফহোয়াইট, ম্যাজেন্ডা ইত্যাদি। কে-ক্রাফটের স্বত্বাধিকারী খালিদ মাহমুদ বলেন, প্রধানত টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জে নিজস্ব ডিজাইনে বোনা তাঁতের শাড়িতে ভ্যালু অডিশনে নানা মিডিয়ার ব্যবহার আছে আমাদের। পটচিত্র, ট্রাইবাল মোটিফ, গ্রিক আর্চ মোটিফ, ফ্লাওয়ার মোটিফ ইত্যাদি বিষয় রয়েছে। আছে অ্যামব্রয়ডারি কাজ। মানিকগঞ্জে বোনা অ্যান্ডি শাড়ির সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বলাকা সিল্কের কম্বিনেশনে তৈরি শাড়িতে ব্লকপ্রিন্ট, স্ক্রিনপ্রিন্ট, অ্যাল্পিক, হাজার বুটি, অ্যামব্রয়ডারি, চুমকি পুঁতি, ভরাট ও কাঁথা স্টিচের কাজ করা হয়েছে। আছে মসলিন শাড়ি। বিভিন্ন রঙ ও ডিজাইনের সালোয়ার-কামিজগুলো গরমে উপযোগী, অ্যালিগেন্ট এবং উৎসবমুখী।
শিশুদের পোশাকে চিত্রিত হয়েছে পাখা, কলস, পাখি, ড্রাইফিস, ঘণ্টা, হাতি, ঘোড়া, ময়ূর, ঘুড়ি, হাঁস, মোরগ ও টমটম গাড়ি। এছাড়াও অ্যাকোয়া ফিস, চিলড্রেন পেইটিং, ফোক আর্ট, পেঁচা, ঘুড্ডি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ফতুয়া, টি-শার্ট, শর্ট পাঞ্জাবি অলংকিত করা হয়েছে। মাধ্যম হিসেবে স্ক্রিনপ্রিন্ট, অ্যামব্রয়ডারি শামুক ঝিনুক ব্যবহার, হ্যান্ড অ্যাপলিক ও সুতার কাজ করা হয়েছে। টপ্স ও ফতুয়ার ডিজাইনে হাতের কাজে শেডওয়ার্ক, কাঁথা কাজ, মানিকগঞ্জের ভরাট, অ্যাপলিকের কাজ করা হয়েছে। সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রঙে সিকোয়েন্স, বিডস ও হাজার বুটি করা হয়েছে। এছাড়া অনুষ্ঠান উপযোগী অ্যান্ডি, জয়সিল্ক ও মসলিনে কাটে ভিন্নতা এনে অ্যামব্রয়ডারি, মেশিন কাটওয়ার্ক, কারচুপি কাজ করা হয়েছে। নববর্ষে মেয়েদের ফতুয়া ও টপসের নানা অপশন রয়েছে। পাঞ্জাবিতে রয়েছে নানা ডিজাইন ও রঙের ব্যবহার। বিশেষ আইটেমগুলো পাওয়া যাচ্ছে কে-ক্রাফটের বনানী ১১ নম্বর রোড, নিউ বেইলি রোড, সীমান্ত স্কয়ার, প্লাজা এ আর, সোবহানবাগ, মালিবাগ ও মৌচাকের কাছে, মিরপুর-২ স্টেডিয়ামের বিপরীতে, দেশিদশ বসুন্ধরা সিটি, লেভেল-৭, গুলশান দেশিদশ তেজগাঁও বা/এ, গুলশান লিংক রোড, উত্তরা টাওয়ার-উত্তরা সেক্টর ৩, আজিজ সুপার মার্কেট শাহবাগ, যমুনা ফিউচার পার্ক ও চট্টগ্রাম দেশিদশে। মেলা বৈশাখের ফ্যাশন
বৈশাখে বাংলার মেলার বিশেষ আকর্ষণ শাড়ি। শাড়িতে লাল-সাদার প্রাধান্য থাকলেও কমলা, হলুদ, ব্লু, ব্রাউন, জলপাই এসব রঙও ব্যবহার করা হয়েছে। মসলিন, হাফসিল্ক, কটন, অ্যান্ডি খাদি মিক্সড বুননের শাড়ি ছাড়াও নানা ডিজাইনে নকশি পাড়ে টাঙ্গাইল শাড়ির আঁচলে থাকছে নানা রঙের মিশ্রণ, পিঠা, লোকজ, ফ্লোরাল, জ্যামিতিক নকশায় ব্লক, স্ক্রিন প্রিন্ট, বাটিক, হ্যান্ড পেইন্ট টাইডাইতে ভ্যালু অ্যাডে করা হয়েছে বৈশাখের শাড়িতে। সালোয়ার-কামিজের লম্বা ঝুলের পাশাপাশি খাটো ঝুলও রাখা হয়েছে এবারের কালেকশনে। থাকছে নানা প্যাটার্নে কুর্তি। পুরুষের আয়োজনে শর্ট ও মিড লেংথ পাঞ্জাবি থাকছে নানা ডিজাইনে আর নেকলাইনে উজ্জ্বল ও সফট সব রঙে শার্ট, ফতুয়া পাওয়া যাবে সব বয়সীর জন্য। একই নকশায় বাচ্চাদের জন্যও থাকছে বৈশাখী ফতুয়া, শার্ট, পাঞ্জাবি, সালোয়ার-কামিজ, ফ্রক। পোশাকের সঙ্গে থাকছে ম্যাচিং জুয়েলারি ও নন টেক্সটাইল প্রোডাক্ট। আর এসব পাবেন একেবারে হাতের নাগালের দামেই। শাড়ি পাবেন ৩৬৫০, সালোয়ার-কামিজ ২২৫০, পাঞ্জাবি ১১৫০ থেকে ১২৫০ টাকায়। লা-রিভ লা-রিভ নতুন নতুন কালেকশন এনেছে। গরম মাথায় রেখে সুতি কাপড়ের ব্যবহার বেশি হয়ে থাকে। লা-রিভের হেড অব ডিজাইন মুন্নুজান নার্গিস বলেন, উন্নতমানের প্রিন্ট ও মনোমুগ্ধকর নকশাসহ ফিরোজা, মান্ডারিন, লাল রঙের ছোঁয়ায় এবার সেজেছে আমাদের বৈশাখী পোশাক। লাল, সাদা, সবুজ, কমলা এবং হলুদের ছোঁয়ায় নারীদের জন্য আছে সালোয়ার-কামিজ ও টিউনিক। আছে পালাজ্জো, হারেম প্যান্ট, কালারফুল ট্রাউজার ও জিন্স। লা-রিভের টিউনিকের দাম ৯৪০ টাকা থেকে শুরু। অ্যাসকেডি (অ্যামব্রয়ডার্ড) ২২০০ থেকে ৪০০০ টাকা। পালাজ্জো ৯৯০ টাকা এবং হারেম প্যান্ট পাওয়া যাবে ১৩৯০ টাকায়। ছোট-বড় সবার জন্য বিভিন্ন দামের পাঞ্জাবি আছে এখানে। যার দাম পড়বে ১২৪০ টাকা থেকে শুরু করে ৩৯৯০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া পাজামাও পাওয়া যাচ্ছে তুলনামূলক কম দামে। বনশ্রী লেভেল-১ ও ২, ধানমন্ডি রোড-২৭, বসুন্ধরা সিটি লেভেল-২, মিরপুর মাল্টিপ্লান রেড ক্রিসেন্ট সিটি, ওয়ারী ইহসান প্লাজা, উত্তরা আরএরকে টাওয়ার, সিলেট ঠিকানা টাওয়ার, নারায়ণগঞ্জ স্বপ্ননীড় ফাতেমা পয়েন্টে এসব পাওয়া যাবে। রঙ বৈশাখের ফ্যাশন
আদি বাংলা বর্ষপঞ্জির মোটিফ ব্যবহার করে রঙ তৈরি করেছে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, কামিজ, পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট, ব্যাগ, গহনা, উত্তরীয় ইত্যাদি। মূল থিম ছাড়াও নতুন নতুন ডিজাইনের সম্মিলনে উৎসবধর্মী বৈচিত্র্যময় বিশাল সম্ভার এবারের রঙ-এর বৈশাখী আয়োজন। বৈশাখের চিরন্তন লাল-সাদার পাশাপাশি রঙের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য উজ্জ্বল সব বাহারী সন্নিবেশ আছে। বৈশাখী আয়োজনে নানা ধরনের সুতি ও সিল্কের কাপড়ের ওপরে স্ক্রিন ও ব্লকপ্রিন্ট, হ্যান্ড ও মেশিন অ্যামব্রয়ডারি, কারচুপি, প্যাচওয়ার্ক, হ্যান্ড পেইন্টের কাজ করা হয়েছে নান্দনিকভাবে। পোশাক ও শাড়ি পাবেন ৫৩০ থেকে শুরু করে ৬৯৮০ টাকা পর্যন্ত। বৈশাখ উপলক্ষে রঙে চলছে গিফট ভাউচার উৎসব। যে কোনো শোরুম থেকে ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা মূল্যের এসব ভাউচার ব্যবহার করে কেনা যাবে পছন্দসই সামগ্রী। বৈশাখে নিজেকে রাঙাতে ঘুরে আসতে পারেন রঙ শো-রুমগুলোতেÑবসুন্ধরা সিটি শপিং মল লেভেল-৭, উত্তরা মডেল টাউন সেক্টর-৭, যমুনা ফিউচার পার্ক, বনানী রোড-১১, ধানমন্ডি¬ অরচার্ড পয়েন্ট, ধানমন্ডি সীমান্ত স্কয়ার, বেইলী রোডের বেইলী ফিয়েস্তা, তেজগাঁও-গুলশান লিংক রোড সংলগ্ন হাসিম টাওয়ার, লালমাটিয়া সানরাইজ প্লাজা, শান্তিনগর টুইন টাওয়ারস্ কনকর্ড শপিং কমপ্লেক্স, নারায়ণগঞ্জ সান্ত¦না মার্কেট, সিলেটের আজগর স্কয়ার, চট্টগ্রামের আফমি প্লাজা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলেম কোর্ট, সুনামগঞ্জে লন্ডন প্লাজা ট্রাফিক পয়েন্ট। সাদা-কালোর সাদা-কালোর স্বত্বাধিকারী আজহারুল হক আজহার এই সময়কে বলেন, বাংলার সংস্কৃতিতে যে লোকজ ফর্মে মাছ, পাখি, হাতি, ঘোড়া হাজার বছর ধরে গ্রাম-বাংলায় ফুটে ওঠেছে তা এখন আমাদের নগর সংস্কৃতিতেও উজ্জ্বল হয়ে ওঠেছে। এই লোকজ ফর্মগুলোকে ব্যবহার করা হয়েছে ব্লক, স্ক্রিন, অ্যামব্রয়ডারি, কারচুপিসহ নানা মাধ্যমে। মেয়েদের জন্য তৈরি করা হয়েছে শাড়ি, কামিজ এবং ছেলেদের জন্য পাঞ্জাবি, শার্ট। ছোটদের জন্য পাঞ্জাবি, শাড়ি ও কামিজ। বৈশাখ উপলক্ষে সাদা-কালোতে ব্যাংক কার্ড হোল্ডারদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ও সিটি ব্যাংকের কার্ড হোল্ডাররা পাচ্ছেন ১০ শতাংশ ছাড়। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ও ইস্টার্ন ব্যাংকের কার্ড হোল্ডাররা পাচ্ছেন ৮ শতাংশ। বিভিন্ন পোশাকের দাম : হাফসিল্কের শাড়ির ওপর স্ক্রিন প্রিন্ট করা শাড়ি পাবেন ৪২৮০ টাকায়। নাইলেন কটনের ওপর করা স্ক্রিন প্রিন্ট ও ব্লকের কাজ করা থ্রি-পিস পাবেন ১২২০ টাকায়। সুতি কাপড়ে ব্লক ও স্ক্রিন প্রিন্টের কাজ করা শিশুদের পোশাক পাওয়া যাবে ৯২০ থেকে শুরু করে ১৪২০ টাকা পর্যন্ত। এর মধ্যে টি-শার্ট ৩৫০ টাকা, পাঞ্জাবি ১০২০ টাকা ও শাড়ি ১৩৮০ টাকা থেকে ১৪২০ টাকার মধ্যে। শো রুম : ধানমন্ডি সীমান্ত স্কয়ার, বেইলী রোড নাভানা বেইলী স্টার, বনানী রোড-১১, বসুন্ধরা সিটি লেভেল-৭, ওয়ারী র্যাঙ্কিন স্ট্রিট, চট্টগ্রাম আফমি প্লাজা, গুলশান লিংক রোড হাসেম টাওয়ার, যমুনা ফিউচার পার্ক গ্রাউন্ড ফ্লোর। নগরদোলা বৈশাখের ফ্যাশন
অন্যান্য পোশাকের তুলনায় কম মূল্যে ভালো ডিজাইনের পছন্দের পোশাক পাবেন নগরদোলায়। পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, দেশিবেশে দেশি পোশাকের ভালো লাগাই অন্যরকম আনন্দের। পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে সবাই দেশি পোশাকই বেছে নেন। তাই বাঙালি প্রাণের কথা মাথায় এনে ঐতিহ্যের সঙ্গে মিল রেখেই পোশাকের ডিজাইনে আনা হয়েছে বৈচিত্র্য। নগরদোলায় পাবেন বৈশাখী লং কামিজ। এটি টাই-ডাই ও অ্যামব্রয়ডারির মাধ্যমে কাজ করা হয়েছে, সঙ্গে রয়েছে ম্যাচিং দো-পাট্টা ও চুড়িদার, মূল্য ৩৪৯০ টাকা। বৈশাখী কামিজ আনারকলি স্টাইলে প্যাটার্ন করা হয়েছে। ব্লক অ্যামব্রয়ডারি ও হাতের কাজের মাধ্যমে ডিজাইন করা হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে চুড়িদার ও দোপাট্টা। এছাড়া লেইস, পট্টি, অ্যামব্রয়ডারি, ব্লকের কাজ। যার মূল্য ৩২৯০ টাকা থেকে শুরু। সুতি কাপড়ের ওপর বৈশাখী কামিজ আং রাখা স্টাইলে প্যাটার্ন করা হয়েছে। কামিজে ব্যবহার করা হয়েছে ব্লক স্ক্রিন ও মাল্টি কালার কাপড়ের পট্টি। সঙ্গে রয়েছে তাঁতের দোপাট্টা এবং চুড়িদার। বাচ্চাদের সাইজে পাওয়া যাবে অনুরূপ পোশাকটি। মা-মেয়ে ইচ্ছেমতো মিলিয়ে পরতে পারবেন পোশাকটি। মূল্য ২৮৯০ টাকা। মা-মেয়ের বৈশাখী পোশাক নিয়ে এসেছে নগরদোলা। কম্বিনেশন ও ডিজাইন ঠিক রেখে ব্লক মাধ্যমে কাজটি করা হয়েছে, সঙ্গে টারসেল ও বাটনের ব্যবহার করা হয়েছে। বাচ্চাদের সালোয়ার- কামিজের মূল্য ১৪৯০ থেকে ১৬৯০ টাকা। বড়দের সালোয়ার-কামিজের মূল্য ৩০৯০ টাকা। তাঁতের শাড়িতে ডিজাইন করা হয়েছে লোকজ মোটিফের ব্লক দিয়ে, সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে গ্লাস ও চুমকির কাজ। এসব শাড়ি পাবেন ২১৯০ টাকার মধ্যে। লাল ডাই কাপড়ের কলার প্লেটে অ্যামব্রয়ডারি ও স্টিচিং কাজ দিয়ে ডিজাইন করা পাঞ্জাবি পাবেন ১৬৯০ টাকায়।
COMMENTS