মাইকেল জ্যাকসনের জন্ম ১৯৫৮ সালের ২৯ আগস্ট। তার বাবা জো জ্যাকসন ছিলেন ইস্পাত শ্রমিক। মুষ্টিযোদ্ধাও ছিলেন। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় ...
মাইকেল জ্যাকসনের জন্ম ১৯৫৮ সালের ২৯ আগস্ট। তার বাবা জো জ্যাকসন ছিলেন ইস্পাত শ্রমিক। মুষ্টিযোদ্ধাও ছিলেন। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় একটি ব্যান্ডদলে গিটার বাজাতেন তিনি। জ্যাকসনের মা ক্যাথরিন জ্যাকসন বাড়তি উপার্জনের জন্য খণ্ডকালীন চাকরি করতেন। বিখ্যাত এই পপ শিল্পী ২০০৯ সালের ২৫ জুন মারা যান। পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেও আজও তিনি বেঁচে আছেন অগণিত ভক্তের হƒদয়ে। তাকে নিয়ে আজকের আয়োজন
ব্যয়বহুল প্লাস্টিক সার্জারি: সঙ্গী হিসেবে সুন্দরী আর ফর্সা মেয়েদেরই বেশি প্রাধান্য দিতেন জ্যাকসন। কৃষ্ণাঙ্গ বলে সমাজে নিচু চোখে দেখছে সবাই এই মনোস্তাত্ত্বিক টানাপোড়েনে প্লাস্টিক সার্জারি করে নিজেকে ফর্সা করে তোলেন। নিজের চেহারার কৃষ্ণাঙ্গ থেকে শ্বেতাঙ্গে রংবদল নিয়ে অনেক সমালোচনা সহ্য করতে হয় তাকে। ১৯৭৯ সালে মাইকেল জ্যাকসন তার প্রথম কসমেটিক অপারেশনটি করান এবং তার পরপরই একটি অ্যাক্সিডেন্টে তার নাক ভেঙে যায়। তিনি ত্বকের সমস্যায়ও ভুগছিলেন। প্রায়ই তাকে মুখোশ পরা অবস্থায় দেখা যেত, ছোঁয়াচে রোগে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে। যদিও তিনি দাবি করেন, আসলে চর্মরোগের কারণে তিনি প্লাস্টিক সার্জারি করাতে বাধ্য হয়েছিলেন।
অন্যরকম জ্যাকসন
গানের মানুষ হলেও স্পাইডারম্যান চরিত্রে অভিনয় করতে আগ্রহ ছিল জ্যাকসনের। এমনকি ১৯৯০ সালে মারভেল কমিকসের এ চরিত্রটির স্বত্ব কিনে নিতে চেয়েছিলেন তিনি।
>> জীবদ্দশায় নিজের অর্থায়নে লিউকেমিয়া এবং ক্যান্সার ইনস্টিটিউট স্থাপন করেন মাইকেল জ্যাকসন। শিশুদের জন্য এবং দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের জন্য তিনি কোটি কোটি ডলার দান করে গেছেন। ১৯৯৬ সালে তার আয়ের অর্থ দিয়ে প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়।
>> মাদাম তুসো জাদুঘরে মাইকেল জ্যাকসনের মোমের মূর্তি ও অন্যান্য জিনিসপত্রের প্রদর্শনী হয়। এর মাধ্যমে তার শৈশব থেকে শুরু করে জ্যাকসন ফাইভ ব্যান্ডের সাফল্য ও তার মৃত্যু সম্পর্কে ধারণা পান দর্শনার্থীরা। জ্যাকসন মারা যাওয়ার পর ভক্তদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে তার পোস্টার, স্থিরচিত্র বা অটোগ্রাফ সংবলিত টি-শার্ট, মগ প্রভৃতি।
>> মৃত্যুর পর জ্যাকসনকে নিয়ে তৈরি হয়েছে কম্পিউটার গেম, এর নাম ‘মাইকেল জ্যাকসনস মুনওয়াকার’। এতে জ্যাকসনের বিখ্যাত নাচের মুদ্রার সঙ্গে আছে রোমাঞ্চকর মারামারি।
অমীমাংসিত মৃত্যুরহস্য
কিং অব পপ নামে দুনিয়াজুড়ে পরিচিতি লাভ করা মার্কিন সংগীতশিল্পী মাইকেল জ্যাকসনের আচমকা মৃত্যুর জন্য দীর্ঘ মেয়াদে পেইন কিলার সেবনকে দায়ী করা হয়। কিন্তু এ নিয়ে বিতর্ক বোধ হয় কোনো দিনই শেষ হবে না। শুরুতে জানানো হয়েছিল হƒদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু ঘটেছে। তখন হুট করেই বোম ফাটায় দ্য সান পত্রিকা। তাদের এক খবরে বলা হয়, ডেমারোল নামের একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যথানাশক ইনজেকশন নেয়ার কারণেই জ্যাকসনের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। ডেমারোল নেয়ার পর থেকেই জ্যাকসনের শ্বাস-প্রশ্বাস ধীর হতে শুরু করে। এক পর্যায়ে এসে তা একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। দুপুরের দিকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়া ও মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ার সময়টিতে মাইকেল জ্যাকসনের সঙ্গে ছিলেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক কনরাড মুরে। রহস্য ঘনীভূত হয় যখন দেখা গেল, মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যুর সময়টিতে মুরে উপস্থিত থাকলেও ডেথ সার্টিফিকেটে তিনি স্বাক্ষর করেননি। তাকে ঘিরে একাধিক প্রশ্ন ওঠে। বিশেষ করে সবাই জানতে চাইল, তিনি কি ডেমারোল ড্রাগসটি ব্যবহার করেছিলেন? ডেমারোল ড্রাগসটি কি দুইবার দেয়া হয়েছিল? এর পরপরই লস অ্যাঞ্জেলেসের করোনার কার্যালয় মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড বলে ঘোষণা দিয়ে বসে। মাইকেলের অস্বাভাবিক মৃত্যু তদন্তে নিয়োজিত করোনার কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মাইকেল মারা যাওয়ার সময় তার শরীরে ছয় ধরনের মাদকের ভয়াবহ মিশ্রণের জের ছিল। একে একে বেরিয়ে আসে প্রোপফল ছাড়াও জ্যাকসনের শরীরে ব্যথানাশক লোরাজিপাম, মিডাজোলাম, ডায়াজিপাম, লিডোকেইন এবং এফিড্রিন পাওয়া গেছে। মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যুর জন্য তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক কনরাড মুরকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। পপস্টারের মৃত্যুর জন্য অনিচ্ছাকৃতভাবে হলেও তার গাফিলতিই দায়ী বলে লস এঞ্জেলেসের আদালত রায় দেয়। যদিও মুরের আইনজীবীরা দাবি করেন, জ্যাকসন স্বেচ্ছায় অতিরিক্ত মাত্রায় ওই ওষুধটি নিয়েছিলেন। তবে কি এটি হত্যা, নাকি আত্মহত্যা হিসাব কষে দুইয়ে দুইয়ে চার আজও মেলেনি।
ব্যয়বহুল প্লাস্টিক সার্জারি: সঙ্গী হিসেবে সুন্দরী আর ফর্সা মেয়েদেরই বেশি প্রাধান্য দিতেন জ্যাকসন। কৃষ্ণাঙ্গ বলে সমাজে নিচু চোখে দেখছে সবাই এই মনোস্তাত্ত্বিক টানাপোড়েনে প্লাস্টিক সার্জারি করে নিজেকে ফর্সা করে তোলেন। নিজের চেহারার কৃষ্ণাঙ্গ থেকে শ্বেতাঙ্গে রংবদল নিয়ে অনেক সমালোচনা সহ্য করতে হয় তাকে। ১৯৭৯ সালে মাইকেল জ্যাকসন তার প্রথম কসমেটিক অপারেশনটি করান এবং তার পরপরই একটি অ্যাক্সিডেন্টে তার নাক ভেঙে যায়। তিনি ত্বকের সমস্যায়ও ভুগছিলেন। প্রায়ই তাকে মুখোশ পরা অবস্থায় দেখা যেত, ছোঁয়াচে রোগে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে। যদিও তিনি দাবি করেন, আসলে চর্মরোগের কারণে তিনি প্লাস্টিক সার্জারি করাতে বাধ্য হয়েছিলেন।
অন্যরকম জ্যাকসন
গানের মানুষ হলেও স্পাইডারম্যান চরিত্রে অভিনয় করতে আগ্রহ ছিল জ্যাকসনের। এমনকি ১৯৯০ সালে মারভেল কমিকসের এ চরিত্রটির স্বত্ব কিনে নিতে চেয়েছিলেন তিনি।
>> জীবদ্দশায় নিজের অর্থায়নে লিউকেমিয়া এবং ক্যান্সার ইনস্টিটিউট স্থাপন করেন মাইকেল জ্যাকসন। শিশুদের জন্য এবং দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের জন্য তিনি কোটি কোটি ডলার দান করে গেছেন। ১৯৯৬ সালে তার আয়ের অর্থ দিয়ে প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়।
>> মাদাম তুসো জাদুঘরে মাইকেল জ্যাকসনের মোমের মূর্তি ও অন্যান্য জিনিসপত্রের প্রদর্শনী হয়। এর মাধ্যমে তার শৈশব থেকে শুরু করে জ্যাকসন ফাইভ ব্যান্ডের সাফল্য ও তার মৃত্যু সম্পর্কে ধারণা পান দর্শনার্থীরা। জ্যাকসন মারা যাওয়ার পর ভক্তদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে তার পোস্টার, স্থিরচিত্র বা অটোগ্রাফ সংবলিত টি-শার্ট, মগ প্রভৃতি।
>> মৃত্যুর পর জ্যাকসনকে নিয়ে তৈরি হয়েছে কম্পিউটার গেম, এর নাম ‘মাইকেল জ্যাকসনস মুনওয়াকার’। এতে জ্যাকসনের বিখ্যাত নাচের মুদ্রার সঙ্গে আছে রোমাঞ্চকর মারামারি।
অমীমাংসিত মৃত্যুরহস্য
কিং অব পপ নামে দুনিয়াজুড়ে পরিচিতি লাভ করা মার্কিন সংগীতশিল্পী মাইকেল জ্যাকসনের আচমকা মৃত্যুর জন্য দীর্ঘ মেয়াদে পেইন কিলার সেবনকে দায়ী করা হয়। কিন্তু এ নিয়ে বিতর্ক বোধ হয় কোনো দিনই শেষ হবে না। শুরুতে জানানো হয়েছিল হƒদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু ঘটেছে। তখন হুট করেই বোম ফাটায় দ্য সান পত্রিকা। তাদের এক খবরে বলা হয়, ডেমারোল নামের একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যথানাশক ইনজেকশন নেয়ার কারণেই জ্যাকসনের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। ডেমারোল নেয়ার পর থেকেই জ্যাকসনের শ্বাস-প্রশ্বাস ধীর হতে শুরু করে। এক পর্যায়ে এসে তা একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। দুপুরের দিকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়া ও মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ার সময়টিতে মাইকেল জ্যাকসনের সঙ্গে ছিলেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক কনরাড মুরে। রহস্য ঘনীভূত হয় যখন দেখা গেল, মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যুর সময়টিতে মুরে উপস্থিত থাকলেও ডেথ সার্টিফিকেটে তিনি স্বাক্ষর করেননি। তাকে ঘিরে একাধিক প্রশ্ন ওঠে। বিশেষ করে সবাই জানতে চাইল, তিনি কি ডেমারোল ড্রাগসটি ব্যবহার করেছিলেন? ডেমারোল ড্রাগসটি কি দুইবার দেয়া হয়েছিল? এর পরপরই লস অ্যাঞ্জেলেসের করোনার কার্যালয় মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড বলে ঘোষণা দিয়ে বসে। মাইকেলের অস্বাভাবিক মৃত্যু তদন্তে নিয়োজিত করোনার কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মাইকেল মারা যাওয়ার সময় তার শরীরে ছয় ধরনের মাদকের ভয়াবহ মিশ্রণের জের ছিল। একে একে বেরিয়ে আসে প্রোপফল ছাড়াও জ্যাকসনের শরীরে ব্যথানাশক লোরাজিপাম, মিডাজোলাম, ডায়াজিপাম, লিডোকেইন এবং এফিড্রিন পাওয়া গেছে। মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যুর জন্য তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক কনরাড মুরকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। পপস্টারের মৃত্যুর জন্য অনিচ্ছাকৃতভাবে হলেও তার গাফিলতিই দায়ী বলে লস এঞ্জেলেসের আদালত রায় দেয়। যদিও মুরের আইনজীবীরা দাবি করেন, জ্যাকসন স্বেচ্ছায় অতিরিক্ত মাত্রায় ওই ওষুধটি নিয়েছিলেন। তবে কি এটি হত্যা, নাকি আত্মহত্যা হিসাব কষে দুইয়ে দুইয়ে চার আজও মেলেনি।
COMMENTS