কিভাবছেন এইটা আপনার দ্বারা হবেনা? অনেক দিন ধরে চেষ্টার পরও সফলতা না পেয়ে ক্লান্ত হয়ে পরেছেন? তাই ছেড়ে দিয়ে অন্য কিছু করতে চান? অন্য কি...
অন্য কিছু করতে গিয়েও তো আবার একই অবস্থা হতে পারে। তখন সেটাও হয়তো ভালো নাও লাগতে পারে। তখন ও কি আবার চেষ্টা করবেন? কি বললেন 'এক বার না পরিলে দেখ শতবার'। ওহ....তাই আপনি বারবার চেষ্ট করতে চান। ভালো। কিন্তু এভাবে চেষ্টা করার চেয়ে না করাই ভালো। তার কারণ আপনি শতবার চেষ্টার আগে এক বারও ভালো ভাবে চেষ্টা করেন নাই। চেষ্টা যদি করতেন তবে হাঁপিয়ে উঠতেন না। আর সফল ও হতে পারতেন। দেখুন জীবনে চলার পথে অনেক বাধা-বিপত্তি আসবেই। তাই বলে হতাশা নামের বিশাল গর্তে নিজেকে পতিত করবেন না। পারবনা, হবেনা এ ভেবে কোনো কাজ কখনো করবেন না। জাস্ট করে যাবেন। চেষ্টা করতে থাকলে একদিন সফলতা আসবেই। কারণ প্রত্যেকটি মানুষই একটি নির্দিষ্ট গণ্ডি পেরিয়ে তারপর সফলতা নামের 'সোনার হরিণ' স্পর্শ করতে পারে। যুগে যুগে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা নিজেদের কর্মগুণে ইতিহাসের স্বর্ণাক্ষরে খোদিত আছেন। যাদের চাইলেও কেউ মুছে ফেলতে পারবে না। কারণ এইসব ব্যক্তি এতটাই মহিমান্বিত যে, তারা সফলতার পেছনে নয়, সফলতাই তাদের খুঁজে নিয়েছে।
উদাহরণ হিসেবে অাইনস্টাইন, নিউটন, ডারউইন, হ্যারিসন ফোর্ড এইসব বিশ্ববিখ্যাত ব্যক্তিদের প্রসঙ্গ টানা যায়।
যা হোক এই টিপস ৩ টি আপনার জন্য। যা হয়তো আপনাকে শিক্ষা দিতে পারে।
১. ব্যর্থতা হতে পারে অনুপ্রেরণার প্রধান উৎস
২০১৫ সালে অলিম্পিকের ১০ জন গোল্ড মেডেলিস্টের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। এইসব মেডেলিস্ট জীবনে বহুবার ব্যর্থতার সম্মুখীন হয়েছেন। পারিবারিক সমস্যা বা আঘাতের কারণে সরে আসতে হয়েছে লক্ষ্য থেকে।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিটি ব্যর্থতাকে তারা অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে ব্যবহার করতে সমর্থ হয়েছেন। আর এরই ধারাবাহিকতায় আজ তারা স্বর্ণের মেডেল জয় করতে পেরেছে। এর আগের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় তারা খারাপ ফলাফল করেননি। কিন্তু বিজয় মুকুটের দেখা মেলেনি।
প্রতিবারই তারা ভেবেছেন, কেন তারা ব্যর্থ হচ্ছেন? মনোযোগ দিতে না পারার বিষয়টি নিয়ে তারা অনেক চিন্তা করেছেন। তবে এসব নেতিবাচক ঘটনার পরও তারা দৈহিক ও মানসিকভাবে কখনোই পরবর্তী পদক্ষেপ থেকে সরে আসেননি।
২. ব্যর্থতা আপনাকে লক্ষ্যভ্রষ্ট করে
বেশিরভাগ মানুষই লক্ষ্য অর্জিত না হওয়ার শঙ্কায় থাকেন। সফল না হতে পারলে আমরা চরম নৈরাশ্যে ডুবে যেতে পারি। গবেষণায় বলা হয়, তীব্র আকাঙ্ক্ষা ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে বাধা টপকানোর প্রস্তুতি নিলে সফলতা নিশ্চিত। ইচ্ছা ও দৈহিক শক্তির সমন্বয়ে যারা জয়ী হতে চান তাদের কাছে সফলতা ধরা দেয়।
শিশুদের পরিচালিত আরেক গবেষণায় দেখা যায়, বুদ্ধিমত্তাকে ভালো ফলাফলের একমাত্র অবলম্বন বলে যারা মনে করেন না তারা ক্রমেই অন্যদের চেয়ে সফল হতে থাকেন। এসব ক্ষেত্রে ব্যর্থতার প্রতি মানুষ কিভাবে প্রতিক্রিয়া জানান তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যারা শক্ত মনের অধিকারী, বৈপরীত্যকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন শুধুমাত্র তারাই নতুন কিছু পেতে পারেন। ধৈর্য হারানো, ভুল ও ব্যর্থতার মাধ্যমে শিক্ষা অর্জন করা উচিৎ। ব্যর্থতার অনুভূতি মানুষকে ভেতরের শক্তিটাকে জাগ্রত করে। তাই সফলতার পেছনে ছুটতে গিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হবেন না।
৩. ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা
ব্যর্থতা এমন এক বিষয় যাকে সহজে অনুধাবন করা যায়। একে ভিন্ন মাত্রা দেওয়া যায় যদি সেখান থেকে সুবিধা নেওয়া সম্ভব হয়। ভুল এবং ব্যর্থতা থেকেই বড় বড় অর্জন সম্ভব হয়েছে। অনেক সময় স্কুলে বাজে ফলাফল বা অফিসে প্রমোশন না পাওয়াকে ব্যর্থতা বলে তুলে ধরা হয়। এর মাধ্যমে বোঝানো হয়, সফল হতে যা প্রয়োজন তা ওই শিশু বা কর্মীর নেই। অথচ ব্যর্থতা আপনার কিছু ভুল সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপের ফলাফল মাত্র।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যর্থতা ও সফলতা একে অপরের সঙ্গে জড়িত। স্বল্পমেয়াদে যা ব্যর্থতা বলে মনে হচ্ছে, তা দীর্ঘমেয়াদে সফলতা বয়ে আনতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সফলতার গোপন উপকরণ হয়ে ওঠে ব্যর্থতা। তাই ব্যর্থতার ভয়ে পিছপা না হওয়াই ভালো। কারণ ব্যর্থতাই আপনার মনষ্যত্বকে জাগ্রত করে। এবং অন্ধকার পেরিয়ে আলোর পথে যাওয়ার অনুপ্রেরণা যোগায়। তাই হতাশ না হয়ে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যান। সফলতাই আপনাকে খুঁজে নেবে। এক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ধৈর্য। বিপদে যত বেশি ধৈর্য ধরতে পারবেন সফলতাও তত বেশি নাগালে আসবে।
COMMENTS