লুই পাস্তুর প্রমাণ করেন, বিভিন্ন অণুজীব শরীরে রোগ সৃষ্টির জন্য দায়ী। তার গবেষণায় প্রমাণিত হয় অণুজীবের আক্রমণে মদ নষ্ট ও তিক্ত স্বাদবিশ...
লুই পাস্তুর প্রমাণ করেন, বিভিন্ন অণুজীব শরীরে রোগ সৃষ্টির জন্য দায়ী। তার গবেষণায় প্রমাণিত হয় অণুজীবের আক্রমণে মদ নষ্ট ও তিক্ত স্বাদবিশিষ্ট হয়ে যায়। নির্দিষ্ট মাত্রার তাপ প্রয়োগ করে অণুজীব ধ্বংস করার মাধ্যমে মদ সংরক্ষণ করার পদ্ধতি তিনিই প্রথম উদ্ভাবন করেন। ১৮৮১ সালের ২ জুন তিনি জলাতঙ্ক রোগের প্রতিষেধক ইনজেকশন প্রথম আবিষ্কার করেন।
রসায়নবিদ ও অণুজীববিজ্ঞানী হিসেবে লুই পাস্তুর বিশ্ববিখ্যাত। তার জন্য ১৮২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর পূর্ব ফ্রান্সের দোল শহরে। চিত্রশিল্প, রসায়ন, অণুজীববিদ্যা ইত্যাদি বিষয়ের প্রতি তার আগ্রহ সত্ত্বেও পাস্তুরের গবেষণা প্রধানত রোগ ও অণুজীবের সম্পর্ক এবং রোগের বিরুদ্ধে প্রতিষেধক টিকার উদ্ভাবনের ওপর। সে জন্য তাকে বলা হয় জীবাণুবিদ্যার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। লুই পাস্তুর প্রমাণ করেন, বিভিন্ন অণুজীব শরীরে রোগ সৃষ্টির জন্য দায়ী। তার গবেষণায় প্রমাণিত হয় অণুজীবের আক্রমণে মদ নষ্ট ও তিক্ত স্বাদবিশিষ্ট হয়ে যায়। নির্দিষ্ট মাত্রার তাপ প্রয়োগ করে অণুজীব ধ্বংস করার মাধ্যমে মদ সংরক্ষণ করার পদ্ধতি তিনিই প্রথম উদ্ভাবন করেন। খাবার, দুধ ও অন্যান্য পানীয় সংরক্ষণের জন্যও তার উদ্ভাবিত এই পদ্ধতি ‘পাস্তুরাইজেশন’ নামে পরিচিত। বাংলায় একে আমরা ‘পাস্তুরায়ণ’ বলে থাকি। রোগজীবাণু আবিষ্কার এবং জীবাণুতত্ত্বের প্রতিষ্ঠা ছাড়া আরো একটি গবেষণাকর্মে পাস্তুরের কীর্তি অবিস্মরণীয়। তিনি প্রমাণ করেন, গবেষণাগারে অণুজীবের শক্তিকে দুর্বল করে তা প্রাণীর শরীরে প্রবেশ করালে সেই প্রাণীর শরীরে নির্দিষ্ট রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে। এ পদ্ধতিটিকে তিনি ‘ভ্যাকসিনেশন’ নামে আখ্যায়িত করেন। তিনিই সর্বপ্রথম জলাতঙ্ক, অ্যানথ্রাক্স ও মুরগির কলেরা রোগের প্রতিষেধক হিসেবে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করেন। লুই পাস্তুর ১৮৯৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। তার সম্মানে প্যারিসে পাস্তুর ইনস্টিটিউট স্থাপিত হয়েছে।
জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিবছর সারাবিশ্বে ৭০ থেকে ৮০ হাজার মানুষ মারা যায়। দেশে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে বছরে প্রাণ হারায় ২ হাজার ৫০০ মানুষ। যদিও প্রতিবছর বেওয়ারিশ কুকুর নিধন করা হয় তারপরও জলাতঙ্ক রোগীর সংখ্যা কমে না। জলাতঙ্ক একটি ভয়ানক রোগ। পৃথিবীতে হাতেগোনা যে কয়েকটি অসুখে মানুষের মৃত্যুহার প্রায় শতভাগ জলাতঙ্ক তাদের মধ্যে অন্যতম। এ রোগে আক্রান্ত রোগীরা পানি দেখলে ভয় পায় বলেই একে জলাতঙ্ক বা হাইড্রোফোবিয়া বলে। শুধু পানি নয়, জলাতঙ্ক রোগীদের বাতাসের সংস্পর্শেও ভীতি জšে§ তাকে বলে অ্যারোফোবিয়া। জলাতঙ্ক প্রধানত আক্রান্ত কুকুর দ্বারাই র্যাবিস ভাইরাস মানুষের শরীরে ঢোকে। এ ছাড়াও জলাতঙ্ক আক্রান্ত বিড়াল, গবাদিপশু, বন্যপ্রাণী অর্থাৎ নেকড়ে বাঘ, খেকশিয়াল, বানর, বেজির কামড়ে এবং কোনো কোনো দেশে রক্তচোষা বাদুড়ের কামড়েও মানুষের জলাতঙ্ক হতে পারে। জলাতঙ্ক-আক্রান্ত জন্তুর কামড় বা নখের আঁচড়ে জলাতঙ্ক রোগ ছড়ায়। সাধারণত কামড় বা আঁচড় দেয়ার ২ সপ্তাহ থেকে ৬ মাস পর এ রোগের লক্ষণ দেখা যায়। বিশেষ করে ১৫ বছরের নিচে শিশু-কিশোর ও বয়স্ক মানুষ এ রোগের জন্য অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ শিশুরা জীবজন্তু নিয়ে খেলা করে এবং বয়স্কদের জীবজন্তু প্রতিহত করার ক্ষমতা থাকে কম। জলাতঙ্ক আক্রান্ত পশুর লালা কোনো সুস্থ মানুষের ত্বকের কাটা-ছেঁড়া, খোলা-ক্ষত এমনকি ত্বকের নিচের স্তরে মিউকাস মেমব্রেনে কোনোভাবে পৌঁছলেও জলাতঙ্ক হতে পারে। জলাতঙ্ক আক্রান্ত মৃত মানুষের অঙ্গ অর্থাৎ কর্নিয়া বা অন্য অঙ্গ কোনো সুস্থ মানুষের দেহে প্রতিস্থাপন করলে তারও জলাতঙ্ক হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ধারণা করে, প্রতিবছর পৃথিবীতে প্রায় ৭০-৮০ হাজার লোক জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে। এর মধ্যে এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশে আক্রান্তের হার উন্নয়নশীল দেশগুলোর শতকরা ৯৫ ভাগ। তার মধ্যে ৩১ হাজার মানুষ এশিয়া মহাদেশে। ভারতে প্রতিবছর প্রায় ২০ হাজারের অধিক জলাতঙ্কে মারা যায়।
রসায়নবিদ ও অণুজীববিজ্ঞানী হিসেবে লুই পাস্তুর বিশ্ববিখ্যাত। তার জন্য ১৮২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর পূর্ব ফ্রান্সের দোল শহরে। চিত্রশিল্প, রসায়ন, অণুজীববিদ্যা ইত্যাদি বিষয়ের প্রতি তার আগ্রহ সত্ত্বেও পাস্তুরের গবেষণা প্রধানত রোগ ও অণুজীবের সম্পর্ক এবং রোগের বিরুদ্ধে প্রতিষেধক টিকার উদ্ভাবনের ওপর। সে জন্য তাকে বলা হয় জীবাণুবিদ্যার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। লুই পাস্তুর প্রমাণ করেন, বিভিন্ন অণুজীব শরীরে রোগ সৃষ্টির জন্য দায়ী। তার গবেষণায় প্রমাণিত হয় অণুজীবের আক্রমণে মদ নষ্ট ও তিক্ত স্বাদবিশিষ্ট হয়ে যায়। নির্দিষ্ট মাত্রার তাপ প্রয়োগ করে অণুজীব ধ্বংস করার মাধ্যমে মদ সংরক্ষণ করার পদ্ধতি তিনিই প্রথম উদ্ভাবন করেন। খাবার, দুধ ও অন্যান্য পানীয় সংরক্ষণের জন্যও তার উদ্ভাবিত এই পদ্ধতি ‘পাস্তুরাইজেশন’ নামে পরিচিত। বাংলায় একে আমরা ‘পাস্তুরায়ণ’ বলে থাকি। রোগজীবাণু আবিষ্কার এবং জীবাণুতত্ত্বের প্রতিষ্ঠা ছাড়া আরো একটি গবেষণাকর্মে পাস্তুরের কীর্তি অবিস্মরণীয়। তিনি প্রমাণ করেন, গবেষণাগারে অণুজীবের শক্তিকে দুর্বল করে তা প্রাণীর শরীরে প্রবেশ করালে সেই প্রাণীর শরীরে নির্দিষ্ট রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে। এ পদ্ধতিটিকে তিনি ‘ভ্যাকসিনেশন’ নামে আখ্যায়িত করেন। তিনিই সর্বপ্রথম জলাতঙ্ক, অ্যানথ্রাক্স ও মুরগির কলেরা রোগের প্রতিষেধক হিসেবে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করেন। লুই পাস্তুর ১৮৯৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। তার সম্মানে প্যারিসে পাস্তুর ইনস্টিটিউট স্থাপিত হয়েছে।
জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিবছর সারাবিশ্বে ৭০ থেকে ৮০ হাজার মানুষ মারা যায়। দেশে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে বছরে প্রাণ হারায় ২ হাজার ৫০০ মানুষ। যদিও প্রতিবছর বেওয়ারিশ কুকুর নিধন করা হয় তারপরও জলাতঙ্ক রোগীর সংখ্যা কমে না। জলাতঙ্ক একটি ভয়ানক রোগ। পৃথিবীতে হাতেগোনা যে কয়েকটি অসুখে মানুষের মৃত্যুহার প্রায় শতভাগ জলাতঙ্ক তাদের মধ্যে অন্যতম। এ রোগে আক্রান্ত রোগীরা পানি দেখলে ভয় পায় বলেই একে জলাতঙ্ক বা হাইড্রোফোবিয়া বলে। শুধু পানি নয়, জলাতঙ্ক রোগীদের বাতাসের সংস্পর্শেও ভীতি জšে§ তাকে বলে অ্যারোফোবিয়া। জলাতঙ্ক প্রধানত আক্রান্ত কুকুর দ্বারাই র্যাবিস ভাইরাস মানুষের শরীরে ঢোকে। এ ছাড়াও জলাতঙ্ক আক্রান্ত বিড়াল, গবাদিপশু, বন্যপ্রাণী অর্থাৎ নেকড়ে বাঘ, খেকশিয়াল, বানর, বেজির কামড়ে এবং কোনো কোনো দেশে রক্তচোষা বাদুড়ের কামড়েও মানুষের জলাতঙ্ক হতে পারে। জলাতঙ্ক-আক্রান্ত জন্তুর কামড় বা নখের আঁচড়ে জলাতঙ্ক রোগ ছড়ায়। সাধারণত কামড় বা আঁচড় দেয়ার ২ সপ্তাহ থেকে ৬ মাস পর এ রোগের লক্ষণ দেখা যায়। বিশেষ করে ১৫ বছরের নিচে শিশু-কিশোর ও বয়স্ক মানুষ এ রোগের জন্য অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ শিশুরা জীবজন্তু নিয়ে খেলা করে এবং বয়স্কদের জীবজন্তু প্রতিহত করার ক্ষমতা থাকে কম। জলাতঙ্ক আক্রান্ত পশুর লালা কোনো সুস্থ মানুষের ত্বকের কাটা-ছেঁড়া, খোলা-ক্ষত এমনকি ত্বকের নিচের স্তরে মিউকাস মেমব্রেনে কোনোভাবে পৌঁছলেও জলাতঙ্ক হতে পারে। জলাতঙ্ক আক্রান্ত মৃত মানুষের অঙ্গ অর্থাৎ কর্নিয়া বা অন্য অঙ্গ কোনো সুস্থ মানুষের দেহে প্রতিস্থাপন করলে তারও জলাতঙ্ক হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ধারণা করে, প্রতিবছর পৃথিবীতে প্রায় ৭০-৮০ হাজার লোক জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে। এর মধ্যে এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশে আক্রান্তের হার উন্নয়নশীল দেশগুলোর শতকরা ৯৫ ভাগ। তার মধ্যে ৩১ হাজার মানুষ এশিয়া মহাদেশে। ভারতে প্রতিবছর প্রায় ২০ হাজারের অধিক জলাতঙ্কে মারা যায়।
COMMENTS