সত্যি কি জ্বীনের মসজিদ বলে কিছু আছে নাকি ভূয়া। তবে যাই থাক মানুষে এসব মসজিদকে জ্বীনের মসজিদ বলে আঁখ্যা দিয়ে থাকেন। আসুন জেনে নেই সে রকম ...
এই সব মসজিদটিকে এলাকাবাসী ‘জ্বীনের মসজিদ’ নামে চিনে থাকে। নামকরণের ক্ষেত্রে জ্বীনতাত্ত্বিক কারণও রয়েছে। জানা যায়, মসজিদ গুলে কোনো মানুষের নকশায় শ্রমিকের ঘামে গড়ে ওঠেনি। অলৌকিকভাবে একরাতের মধ্যে গড়ে উঠেছে মসজিদটি। তাই স্থানীয়রা এর নাম দিয়েছে ‘জ্বীনের মসজিদ’। এই মসজিদ কে ঘিরে এলাকাবাসীর মধ্যে রয়েছে নানা কাহিনী।
প্রচলিত ধারণা, আনুমানিক দুইশ’ বছর আগে কোন এক রাতে অলৌকিকভাবে গড়ে ওঠে একটি মসজিদ। আগের দিন পর্যন্ত যেখানে ছিল অথৈ পানি। একরাতের মধ্যে পানির ভিতর মাটি ফেলে কারুকার্যখঁচিত একটি মসজিদ নির্মাণ করা কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। নিশ্চয়ই এটা জ্বীনের কাজ।
স্থানীয় প্রবীণরা দাবি করেন, সম্ভবত দুইশ’ বছর আগে একরাতে জ্বীনেরা এ মসজিদের কাজ শুরু করে। ভোররাতের দিকে পার্শ্ববর্তী বাড়ির একজন মাছ ধরতে গেলে জ্বীনেরা সেখান থেকে চলে যায়। এজন্য কিছু কাজ অসমাপ্ত থেকে যায়। এখন পর্যন্ত সেভাবেই আছে।
মসজিদটি নির্মিত হওয়ার পর প্রায় ৫০-৬০ বছর কেউ সেখানে নামাজ পড়তে যাননি। কারণ তার আশেপাশে তেমন বসতি ছিল না। যে দু’একটা ঘর ছিল, তারা ভয়ে মসজিদের কাছে যেত না। পরে বসতি বাড়ার সাথে সাথে কিছু মানুষ নামাজ পড়তে যেতে থাকে। তখন নামাজের সময় কিছু অপরিচিত মানুষ অংশগ্রহণ করতো বলে কথিত রয়েছে। প্রায় একশ’ বছর পর মসজিদের কিছুটা সংস্কার করা হয়। তবে ছাদের ওপর ওঠার সাহস এখনো কেউ দেখাননি। সেখানকার সব ধর্মের মানুষ এই মসজিদটিকে অত্যান্ত শ্রদ্ধা এবং তাদের ঐতিহ্য হিসেবে দেখে থাকে।
পাঁচ কাঠা জমির ওপর স্থাপিত চতুর্ভূজ আকৃতির মসজিদটি এক গম্বুজবিশিষ্ট। মসজিদের ভেতরে নামাজের জন্য তিনটি কাতার বা লাইন দাঁড়াতে পারে। প্রতি লাইনে কমপক্ষে দশজন দাঁড়াতে পারে। মসজিদে এখনো নির্দিষ্ট কোন ইমাম নেই। বা কেউ মসজিদের অভ্যন্তরে অবস্থান করে না। একা একা কেউ নামাজও পড়তে আসেন না। বিশেষ করে জোহর ও এশার নামাজ পড়তে এখনো ভয় পান মুসল্লিরা। বর্তামানে অনেক কৌতুহলী মানুষ মসজিদটিকে দেখতে আসে।তাই মসজিদ কে ঘিরে জ্বিন তাত্বিক ভয় অনেকটা কেটে গেছে।
প্রাচীন এই মসজিদটি দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে।
COMMENTS