একা থাকতে ভালবাসেন? তাতে কোনো সমস্যা নায়। মাঝে মাঝে একাকীত্ব মন্দ নয়। অনেকেই তা উপভোগও করে থাকেন। তবে তখনই সমস্যা যখন আপনার চার পাশে অনেক...
একা থাকতে ভালবাসেন? তাতে কোনো সমস্যা নায়। মাঝে মাঝে একাকীত্ব মন্দ নয়। অনেকেই তা উপভোগও করে থাকেন। তবে তখনই সমস্যা যখন আপনার চার পাশে অনেক মানুষ থাকা সত্ত্বেও আপনি একাকিত্ব অনুভব করেন। আপনার মত অনেকের কাছেই এটা হতাশাজনক হতে পারে।
নানা কারণেই আমরা একাকীত্বে ভুগতে পারি। এসব কারণের মধ্যে রয়েছে সামাজিকতায় উদ্বেগ বা ভীতি, অতিরিক্ত কাজের চাপ, ইন্টারনেট আসক্তি বা অন্যের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হওয়া। তবে যায় হোকনা কেন এটা যদি দীর্ঘমেয়াদী হয় তখন তা ব্যক্তিগত ক্ষতির কারন হতে পারে। বড় কোন মানসিক রোগ হওয়াটাও স্বাভাবিক। তবে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। কিছু উপায় অবলম্বন করে এ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারেন। আজ সেরকম কিছু ব্যাপার নিয়েই আলোচনা করছি।
→ নিজের মানসিকতাকে গ্রহণ করুন। আপনার নিজের মানসিক অবস্থাকে বুঝে একাকীত্বকে মেনে নিন। সমস্যা মেনে নিলে তা সমাধানের উপায়ও আপনি হাতে পেয়ে যাবেন। কিন্তু সমস্যাটি যদি মানতেই না চান তাহলে তার সমাধানও কঠিন হয়ে পড়বে । নিজের অসুবিধা নিয়ে খোলামনে নিজের সাথে কথা বলুন।
→ সামাজিক হোন। আপনি যেমন মানুষ পছন্দ করেন, যাদের সঙ্গে আপনার ভালো মিলে, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখুন। তাদের সঙ্গে আপনার ভালোলাগার বিষয়গুলো শেয়ার করুন। যাদের সাথে মিশতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না, তাদের সাথে জোর করে সময় কাটাবেন না। এতে মানুষ সম্পর্কে আপনার বিরূপ মনোভাব জন্ম নিতে পারে।
→ পরিচিত বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। তাদের সঙ্গে টেলিফোনে কিংবা সরাসরি কথা বলুন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ইমেইল কিংবা মোবাইল ফোনের বার্তা শুধু নয়, সরাসরি কথা বলুন। তাদের বাড়ি বেড়াতে যান। তাদের সাথে আড্ডা দিন। প্রানখুলে কথা বলুন।
→ মানুষের উপকারে কাজ করুন। পৃথিবীতে অনেক অসহায় মানুষের নানারকম সাহায্যের প্রয়োজন আছে। সময় পেলে তাদের সাহায্য করার চেষ্টা করুন। সাহায্যের প্রয়োজন এমন মানুষদের জন্য নিজের শ্রম দিন। কোনো প্রতিদানের আশা না করে দুর্গতদের সাহায্য করতে পারলে তা আপনার মন সতেজ রাখবে।
→ ইতিবাচক হতে চেষ্ট করুন। কোনো বিষয়কে হতাশাজনক দৃষ্টিতে না দেখে বরং ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখুন। গ্লাসের অর্ধেকটা পানি থাকলে তা অর্ধেক খালি হিসেবে নয় বরং অর্ধেক ভরা হিসেবেই দেখুন। নানা ব্যক্তির উৎসাহমূলক বক্তব্য শুনুন এবং আপনার মনের নেতিবাচকতা কাটিয়ে উঠুন। অন্যদের উৎসাহ দিন। যে সবসময় সমালোচনা করে তাকে কেউ বেশিদিন খুব একটা পছন্দ করে না।
→ মেনে নিতে শিখুন। মানুষ সমাজে অনেকের সাথে মিলে থাকে। সমাজের সব মানুষ আপনার মনের মতো হবে না হয়ত। আমরা সারাজীবনে খুব অল্পসংখ্যক মনের মত মানুষের দেখা পাই। তবে তাই বলে যাদের অপছন্দ করি তাদের ঘৃনা করলে নিজেরই মানসিক অশান্তি বাড়বে। তাই বাস্তবতাকে মেনে নিতে হবে। অপছন্দের মানুষদের ত্রুটিগুলো আস্তে আস্তে মেনে নিতে শিখুন- ত্রুটি থাকবেই।
→ ওপরের পদ্ধতিগুলো যদি কাজ না করে তাহলে সমস্যা সমাধানের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। এক্ষেত্রে ভালো কোনো মনোবিদের শরণাপন্ন হয়ে থেরাপি নেওয়া যেতে পারে। অনেকসময় এসব থেরাপি বেশ ভালো কাজে দেয়।
ধন্যবাদ।
নানা কারণেই আমরা একাকীত্বে ভুগতে পারি। এসব কারণের মধ্যে রয়েছে সামাজিকতায় উদ্বেগ বা ভীতি, অতিরিক্ত কাজের চাপ, ইন্টারনেট আসক্তি বা অন্যের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হওয়া। তবে যায় হোকনা কেন এটা যদি দীর্ঘমেয়াদী হয় তখন তা ব্যক্তিগত ক্ষতির কারন হতে পারে। বড় কোন মানসিক রোগ হওয়াটাও স্বাভাবিক। তবে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। কিছু উপায় অবলম্বন করে এ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারেন। আজ সেরকম কিছু ব্যাপার নিয়েই আলোচনা করছি।
→ নিজের মানসিকতাকে গ্রহণ করুন। আপনার নিজের মানসিক অবস্থাকে বুঝে একাকীত্বকে মেনে নিন। সমস্যা মেনে নিলে তা সমাধানের উপায়ও আপনি হাতে পেয়ে যাবেন। কিন্তু সমস্যাটি যদি মানতেই না চান তাহলে তার সমাধানও কঠিন হয়ে পড়বে । নিজের অসুবিধা নিয়ে খোলামনে নিজের সাথে কথা বলুন।
→ সামাজিক হোন। আপনি যেমন মানুষ পছন্দ করেন, যাদের সঙ্গে আপনার ভালো মিলে, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখুন। তাদের সঙ্গে আপনার ভালোলাগার বিষয়গুলো শেয়ার করুন। যাদের সাথে মিশতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না, তাদের সাথে জোর করে সময় কাটাবেন না। এতে মানুষ সম্পর্কে আপনার বিরূপ মনোভাব জন্ম নিতে পারে।
→ পরিচিত বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। তাদের সঙ্গে টেলিফোনে কিংবা সরাসরি কথা বলুন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ইমেইল কিংবা মোবাইল ফোনের বার্তা শুধু নয়, সরাসরি কথা বলুন। তাদের বাড়ি বেড়াতে যান। তাদের সাথে আড্ডা দিন। প্রানখুলে কথা বলুন।
→ মানুষের উপকারে কাজ করুন। পৃথিবীতে অনেক অসহায় মানুষের নানারকম সাহায্যের প্রয়োজন আছে। সময় পেলে তাদের সাহায্য করার চেষ্টা করুন। সাহায্যের প্রয়োজন এমন মানুষদের জন্য নিজের শ্রম দিন। কোনো প্রতিদানের আশা না করে দুর্গতদের সাহায্য করতে পারলে তা আপনার মন সতেজ রাখবে।
→ ইতিবাচক হতে চেষ্ট করুন। কোনো বিষয়কে হতাশাজনক দৃষ্টিতে না দেখে বরং ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখুন। গ্লাসের অর্ধেকটা পানি থাকলে তা অর্ধেক খালি হিসেবে নয় বরং অর্ধেক ভরা হিসেবেই দেখুন। নানা ব্যক্তির উৎসাহমূলক বক্তব্য শুনুন এবং আপনার মনের নেতিবাচকতা কাটিয়ে উঠুন। অন্যদের উৎসাহ দিন। যে সবসময় সমালোচনা করে তাকে কেউ বেশিদিন খুব একটা পছন্দ করে না।
→ মেনে নিতে শিখুন। মানুষ সমাজে অনেকের সাথে মিলে থাকে। সমাজের সব মানুষ আপনার মনের মতো হবে না হয়ত। আমরা সারাজীবনে খুব অল্পসংখ্যক মনের মত মানুষের দেখা পাই। তবে তাই বলে যাদের অপছন্দ করি তাদের ঘৃনা করলে নিজেরই মানসিক অশান্তি বাড়বে। তাই বাস্তবতাকে মেনে নিতে হবে। অপছন্দের মানুষদের ত্রুটিগুলো আস্তে আস্তে মেনে নিতে শিখুন- ত্রুটি থাকবেই।
→ ওপরের পদ্ধতিগুলো যদি কাজ না করে তাহলে সমস্যা সমাধানের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। এক্ষেত্রে ভালো কোনো মনোবিদের শরণাপন্ন হয়ে থেরাপি নেওয়া যেতে পারে। অনেকসময় এসব থেরাপি বেশ ভালো কাজে দেয়।
ধন্যবাদ।
COMMENTS